
যমুনা সেতু সম্পর্কিত জানা অজানা সকল তথ্য।
22 Jun 2025 By -
যমুনা সেতু, যা বঙ্গবন্ধু সেতু নামেও পরিচিত, বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও রেল সেতু। এটি যমুনা নদীর উপর নির্মিত এবং ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ, যা দেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়।
যমুনা সেতু সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হলো:
- যমুনা নদীর উপর অবস্থিত এই সেতুটি সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে।
দৈর্ঘ্য: - সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার।
গুরুত্ব: - এটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগকারী সেতু, যা দেশের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করেছে।
নির্মাণকাল: - সেতুটির নির্মাণ কাজ ১৯৯৮ সালে সম্পন্ন হয়েছিল।
নামকরণ: - পূর্বে সেতুটির নামকরণ করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু সেতু, যা পরবর্তীতে আবার যমুনা বহুমুখী সেতু নামে পরিচিত হয়, এবং বর্তমানে এটি বঙ্গবন্ধু সেতু নামেই বেশি পরিচিত, ৫ই আগস্ট জুলাই আন্দোলনের পরে বঙ্গবন্ধু সেতুর নাম আবার পূর্বের সেই যমুনা বহুমুখী সেতু রাখা হয়।
রেলসেতু: - যমুনা নদীর ৩০০ মিটার উত্তরে একটি নতুন রেল সেতু নির্মিত হয়েছে, যা ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় এবং ১৮ মার্চ উদ্বোধন করা হয়।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব: - যমুনা সেতু উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
যাত্রাপথ: - ঢাকা থেকে বিভিন্ন ট্রেন যেমন - একতা, সুন্দরবন, লালমনি, সিল্কসিটি, পদ্মা, দ্রুতযান, চিত্রা, ধুমকেতু, নীলসাগর, সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস এবং টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনে সরাসরি ইব্রাহীমাবাদ স্টেশনে যাওয়া যায়। এছাড়া, বাস বা নিজস্ব পরিবহনেও জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়ক দিয়ে যাওয়া যায়।