



সিরাজগঞ্জ জেলার সকল উপজেলা সম্পর্কে
16 Jan 2025 By -
সিরাজগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা, যা ৯টি উপজেলায় বিভক্ত। প্রতিটি উপজেলার নিজস্ব ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক গুরুত্ব রয়েছে। নিচে সিরাজগঞ্জ জেলার উপজেলা সমূহ, নাম এবং তাদের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো:
১. সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা
- বিবরণ: জেলা সদর এবং প্রশাসনিক কেন্দ্র। যমুনা নদীর তীরবর্তী এই উপজেলা জেলার প্রধান শহর।
- বিশেষ স্থান: যমুনা সেতু, সিরাজগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, এলিয়ট ব্রিজ।
- অর্থনীতি: ব্যবসা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের কেন্দ্র।
২. উল্লাপাড়া উপজেলা
- বিবরণ: কৃষি ও তাঁত শিল্পের জন্য বিখ্যাত।
- বিশেষ স্থান: নবরত্ন মন্দির, মক্কাহৌলিয়া মসজিদ।
- অর্থনীতি: ধান, পাট ও তাঁত শিল্প এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩. শাহজাদপুর উপজেলা
- বিবরণ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত স্থান।
- বিশেষ স্থান: রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি।
- অর্থনীতি: কাপড়ের জন্য বিখ্যাত (বিশেষ করে তাঁত শিল্প)।
৪. কাজীপুর উপজেলা
- বিবরণ: যমুনা নদীর কাছাকাছি অবস্থিত এবং কৃষি প্রধান উপজেলা।
- বিশেষ স্থান: যমুনার চরে গঠিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থান।
- অর্থনীতি: চরের জমিতে কৃষি উৎপাদন এ উপজেলার মূল অর্থনৈতিক কার্যক্রম।
৫. বেলকুচি উপজেলা
- বিবরণ: বাংলাদেশের তাঁত শিল্পের অন্যতম কেন্দ্র।
- বিশেষ স্থান: তাঁত পল্লি।
- অর্থনীতি: তাঁত শিল্পের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সুতি কাপড় সরবরাহ করা হয়।
৬. কামারখন্দ উপজেলা
- বিবরণ: সিরাজগঞ্জের অন্যতম ছোট উপজেলা।
- বিশেষ স্থান: যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- অর্থনীতি: কৃষি ও ছোট শিল্প ব্যবসা এ অঞ্চলের প্রধান অর্থনৈতিক উৎস।
৭. রায়গঞ্জ উপজেলা
- বিবরণ: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক স্থানের জন্য পরিচিত।
- বিশেষ স্থান: প্রতাপ দীঘি, জয়সাগর।
- অর্থনীতি: ধান, পাট ও অন্যান্য কৃষি পণ্য উৎপাদন।
৮. তাড়াশ উপজেলা
- বিবরণ: চলনবিলের জন্য বিখ্যাত। বর্ষায় চলনবিল ভ্রমণকারীদের আকর্ষণ করে।
- বিশেষ স্থান: বেহুলার বাসভিটা, শিব মন্দির।
- অর্থনীতি: মাছ ধরার জন্য জনপ্রিয়।
৯. চৌহালী উপজেলা
- বিবরণ: যমুনা নদীর তীরবর্তী একটি উপজেলা।
- বিশেষ স্থান: খাজা পীর সাহেবের মাজার ও মসজিদ।
- অর্থনীতি: কৃষি ও মৎস্য সম্পদ এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।